রাঁধুনি ধনিয়ার গুঁড়া উপকারিতা:

হজমে সহায়তা: হজমে সমস্যা যেমন- পেট ফোলা, গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া, বমি বমিভাব ইত্যাদি দূর করতে ধনিয়া সাহায্য করে। এতে আছে খাদ্য আঁশ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এরা হজম সহায়ক হরমোন উৎপন্ন করে এবং যকৃতের কার্যকারিতা বাড়ায়।

কোলেস্টেরল কমায়: ধনিয়া খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এই মসলা দস্তা, জিংক এবং অন্যান্য খনিজ সমৃদ্ধ যা ‘আরবিসি’ বা লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ায় এবং হৃদপিণ্ড ভালো রাখে। ধনিয়া বিপাকেও সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস উপশম: এই ক্ষুদ্র বীজ ওজন কমানো এবং অনাকাঙ্ক্ষিত চর্বি কমায়। এটা অ্যান্টিঅক্সডেন্টে এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ভালো উৎস; যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে সকালে ধনিয়া দিয়ে তৈরি পানীয় পান করুন। এটা ওজন কমাতেও সহায়তা করে।

ত্বক ও চুল সুস্থ রাখে: ধনিয়া বীজে আছে ভিটামিন কে, সি, বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আরও রয়েছে বিভিন্ন খনিজ উপাদান। এগুলো ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।

প্রতিদিনের খাবারে ধনিয়া যোগ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা যায়। কারণ এটা ত্বকে বলিরেখা পড়তে ধীর করে এবং অ্যালার্জি ও লালচেভাব থেকে রক্ষা করে। এটা চুল বৃদ্ধির পাশাপাশি অকাল পক্কতা ধীর করে।

ধনিয়া গুড়া এমন একটি মসলা যা সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খাবারের রেসিপিতে খুব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশেও খুব বেশি ব্যবহৃত হয় ধনিয়ার গুড়া। তবে হ্যা , মসলা সেল করতে গিয়ে একটা অভিজ্ঞতা হল। অনেকেই ধনিয়ার গুড়া খায়না। আমার যারা গ্রাহক তাদের মধ্যে অনেকেই এটা ছাড়াই সবসময় রান্না করেন। কেন জানিনা। আমিতো ধনিয়ার গুড়া ছাড়া রান্না করতে পারিনা। একটু বেশিই ব্যবহার করি। কেননা এটারো খুব স্ট্রং একটা নিজস্ব ফ্লেভার আছে।আর তরকারিতে গ্রেভি করতেও সাহায্য করে।

ধনিয়া চাষের ক্ষেত্রে , বাদামী রঙের শুকনা ধনিয়ার বীজগুলোকে পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন জমিতে বপন করা হয়।সেই বীজ থেকেই ধনিয়া গাছ হয় যার পাতা আমরা রান্নায় ব্যবহার করি। পাতা খাওয়া শেষ হলে ধনিয়ার বিচীগুলো গাছে থাকে। সেগুলো নির্দিষ্ট পরিমান সময় পর্যন্ত পাকানোর পর মাটি থেকে উঠানো হয়। এ গাছগুলোকেই মাড়াই করে ধনিয়া‌‌ বীজ আলাদা করা‌‌ হয়।বাংলাদেশে এ কাজগুলো ম্যানুয়ালি করা হয় বিধায় প্রচুর পরিমানে মাটি, পাথর ও অন্যান্য ময়লা মাড়াই করা বীজের সাথে মিশে ওজন বাড়ে। তাই পরিষ্কার করতেও অনেক কষ্ট হয় ।

কিন্তু সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা হলে এত ময়লাযুক্ত ধনিয়াই খেতে হত।যা করা অসম্ভব। আবার ধনিয়া পরিষ্কার করে ধুঁয়ে , শুকিয়ে যখন মেশিনে পাউডার করা হয় তখন পরিমানে কেজিতে মাত্র ৭০০ গ্রামের মত পাওয়া যায়।

এছাড়াও ধনিয়ার অনেক স্বাস্থ্যেপকারিতা আছে যা কিনা যে ধনিয়া খায় সে অটো সিস্টেমে পেয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ।এ ব্যাপারে অন্য পোস্টে ডিটেইল লিখব।

Tastemakers পেজে আপনারা পাচ্ছেন বেস্ট‌ কোয়ালিটির ধনিয়ার গুড়া।পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে প্রসেসিং করা।এটি ব্যবহারে রান্নার স্বাদে আসবে পারফেকশন ইনশাআল্লাহ ।