হলুদের উপকারিতা

ওজন কমাতে সাহায্য করে
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
হজমের সমস্যা দূর করে
বাতের ব্যথা কমায়
হৃদপিন্ডকে রক্ষা করে
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
মস্তিষ্কের ক্ষতি প্রতিরোধ করে
ওজন কমাতে সাহায্য করে

গবেষণা বলছে নিয়মিত হলুদ খেলে ওজন কমে! আমাদের স্থূলতার জন্য দায়ী টিস্যুর বৃদ্ধি রোধ করে। মেটাবলিজম বাড়ায়। ফলে চিনিযুক্ত খাবার শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হতে পারে না। হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ নিরাময় করে।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়

ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ দূর করে। মুখের তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে। ত্বককে ব্রণ থেকে বাঁচায়। খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে।

হজমের সমস্যা দূর করে

হলুদ পরিপাকতন্ত্রের কর্মক্ষমতা উন্নত করে। পেটে গ্যাস্ট্রিক উপাদানের আধিক্য শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়। মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে। হলুদ এক্ষেত্রে দারুণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

বাতের ব্যথা কমায়

হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ। এই উপাদানটি আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে। হাড়ের কোষ রক্ষা করে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চলাচলে অসুবিধা দূর করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে

হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রক্তের কোষকে নিরাপদ রাখে। ফলে স্তন ক্যান্সার, পাকস্থলী, কোলন ও ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে না।

মস্তিষ্কের ক্ষতি প্রতিরোধ করে

হলুদে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পার্কিনসনস, আলঝেইমারস, টিস্যু স্থবিরতার মতো রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এটি আমাদের মস্তিষ্কে তথ্য বিনিময়ের পরিমাণ বাড়ায়। বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে।

লিভারকে রক্ষা করে

হলুদ লিভারের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। লিভার বড় হওয়া, হেপাটাইটিস, সিরোসিস, গলব্লাডারের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে।

শ্বাস-প্রশ্বাসকে শক্তিশালী করে

গবেষণায় দেখা গেছে হলুদে থাকা কারকিউমিন রক্ত প্রবাহ বাড়াতে পারে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা অ্যালার্জি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস বা কাশি, সর্দি এবং কফের সমস্যায় হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দিতেন।

নিয়মিত পিরিয়ড নিশ্চিত করে

হলুদের কারকিউমিন অনিয়মিত মাসিক, হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এই উপাদানটি প্রি-পিরিয়ডের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।